কুমিল্লায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের পর এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। অভিযোগ উঠেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনে তৌহিদুল ইসলাম নামের ওই যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। হেফাজতে যেকোনো ধরনের নির্যাতন ও হত্যার কঠোর নিন্দাও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মৃত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তৌহিদুলকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ তার পরিবারকে ফোন করে জানায়, তৌহিদুল আহত অবস্থায় গোমতী নদীর পাড়ে পড়ে আছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রথমে সদর হাসপাতালে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তৌহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর হাতে যুবদল নেতা- তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে আজ ‘ শনিবার -( ২ ফেব্রুয়ারী -) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে জাতীয় জনতা ফোরামের সহযোগিতায় নাগরিক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। জাতীয় জনতা ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক – আরজে সুহিল ইরফানের সঞ্চালনায় ও জাতীয় জনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লেখক কলামিস্ট মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদারের সভাপতিত্বে
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান ও মানবাধিকার সংগঠক মো: মঞ্জু হোসেন ঈসা, – বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার সংগঠক জাকির হোসেন, মানবাধিকার সংগঠক তাজুল ইসলাম, – এডভোকেট মোহাম্মদ স্বপ্নীল সরকার, – আহসান হাবীব – প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, যুবদল নেতা তৌহিদ তাদের দলের একজন সৎ ও নিবেদিত নেতা ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি সে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার দুই মেয়ে রয়েছে। এই দুটি মেয়ে হচ্ছে পবিত্র কুরআনের হাফেজা। সে অস্ত্রধারী হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তার মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তের দাবি করছি।
বক্তারা বলেন – ৫ই আগষ্ট আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ। তাই মরা লাশ নিয়ে কর্মীরা টানাটানি করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনবেন না। কারণ নেতারা ফাঁকা আওয়াজ দিবে মাঠে নামবে না। ফ্যাসিবাদের ফল নিষিদ্ধ করলে হবে না, গাছসহ নিষিদ্ধ করতে হবে।
বার্তা স্পষ্ট! ৫ আগস্টের পরের আফসোসটাকে কাজে লাগানোর সময় এসে গেছে!
যার যত রাগ বা ক্ষোভ আছে, মিটানোর সময় খুব সন্নিকটে। মনে রাইখেন ওরাই আমার আপনার ভাই বোনের খুনি,ওদের কোন মাপ নাই।
বক্তারা আরোও বলেন –
বিপ্লব হাইজ্যাক হয়ে যাচ্ছে বিপ্লবীরা জেগে উঠো
প্রোক্লেমেশন ঘোষণা কর।
অনেকে বলবে ঘাপটি মেরে থাকা অনেক সরকারি কর্মকর্তা অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ঘাপটি মেরে নয় তারা সরাসরি ড. ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। গর্তের ভিতর ইঁদুর রেখে গর্তের মুখ বন্ধ করে দিলে কি ইঁদুর আর গর্ত থেকে বের হতে পারবে না? সব জায়গায় স্বৈরাচারের আশির্বাদপুষ্ট বড় বড় কর্মকর্তাদের রেখে এগুলো কিসের সংস্কার?
তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে – জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আয়োজিত আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে কয়েকটি বিষয়ে দাবি জানানো হয়েছে – তৌহিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সম্পুর্ণ দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে -! তোহিদুল ইসলামের স্ত্রী জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি চাকুরির ব্যবস্তা করতে হবে -!
তৌহিদুলের দুটি সন্তান -( মেয়েদের -) লেখাপড়ারসহ তাদের সার্বিক বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে-! তাছাড়া হত্যার সাথে জড়িত যেবা যারাই হোক কেন প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে বিচারের কাজ সমাধান করতে হবে।
Leave a Reply