স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, কোটা সংস্কার ছিল একটি অরাজনৈতিক ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের আন্দোলন। সরকার এটিকে প্রথম থেকেই রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে চেয়েছিল। সরকারের চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী ভিন্ন মতের যে কোন আন্দোলন-সংগ্রামকে সরকারবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, রাজাকারের সন্তানসহ নানা ট্যাগ দিয়ে নস্যাৎ করার চেষ্টা করে। তাই এই শাসরুদ্ধ ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বিতর্কিত ও উত্তেজনামূলক বক্তব্য দেয়া এবং পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যায়ভাবে দমন-পীড়ন ও হামলা-মামলা চালিয়ে একটা রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করে। যা দেশবাসী প্রত্যাশা করেনি।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, অবশেষে সরকার শিক্ষার্থীদের দাবী মানতে বাধ্য হয় এবং প্রজ্ঞাপনও দেয়। কিন্তু এই প্রজ্ঞাপন দিতে যত রক্ত মাড়িয়েছে, যত লাশ পড়েছে তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সংলাপের যথাযথ পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে কোটা সংস্কারের চূড়ান্ত সমাধান। যাতে নতুন করে আর কখনো সমস্যা তৈরি না হয়। সব কিছুতে শক্তি প্রয়োগ করা যায় না। সর্বোপরি সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনজীবনের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতা ঢাকতে মামলা-হয়রানী ও গণগ্রেফতার বাণিজ্য করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ নাগরিকদের মুক্তি দিন।
Leave a Reply