ফেনী সংবাদদাতা: বই থাকলেও পাঠক নেই ফেনীর ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে। সব সুযোগ-সুবিধা ও আধুনিকতার ছোঁয়া থাকার পরও বছরজুড়ে পাঠকশূন্য থাকে গ্রন্থাগারটি। পাঠক ফেরাতেও নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ। কেবল ফেব্রুয়ারি মাস এলে চলে তোড়জোড়। স্থানীয়দের দাবি, তরুণ প্রজন্মকে পাঠাগারমুখী করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ যেন নেয়া হয়।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মিছিলে নেমে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে গুলিবিদ্ধ হন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের যুবক আবদুস সালাম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ৭ই এপ্রিল মারা যান তিনি। এই ভাষা শহীদের স্মৃতি রক্ষায় ২০০৮ সালে দাগনভূঞা উপজেলার সালামনগর গ্রামে তাঁর বাড়ির অদূরে ‘আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
কিন্তু গ্রন্থাগারে তিন হাজার বইয়ের সংগ্রহ থাকলেও নেই পাঠক। নিয়মিত গ্রন্থাগারটি খোলাও হয় না বলে জানিয়েছেন ফেনী দাগনভূঁঞা ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার গ্রন্থাগারিক নাজমুল ইসলাম।
বছরজুড়ে সুনশান নিরবতা থাকলেও ফেব্রুয়ারি মাসে বদলে যায় চিত্র। শুরু হয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আনাগোনা। একুশে ফেব্রুয়ারির নানা অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, আগামী প্রজন্মকে ভাষা শহীদ ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানাতে এই গ্রন্থাগারের কোন বিকল্প নেই।
আবদুস সালাম গ্রন্থাগারে পাঠকদের আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেন ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার।
এদিকে, এই ভাষা শহীদ আবদুস সালামের নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হলেও কাগজপত্র জটিলতায় তা সরকারিভাবে আগের নামই রয়ে গেছে। এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আঁখি রানী দাস।
গ্রন্থাগারে পাঠক ফেরাতে ও বিদ্যালয়ের নাম জটিলতা নিরসনে প্রশাসন দ্রুত উদ্যোগ নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
Leave a Reply